রাত পোহালেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচন।
রাত পোহালেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচন। শেষ মুহূর্তে খালিদ হোসেন সরে দাঁড়ানোয় এবার ২৩ পরিচালক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৩০ জন। ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ৭ প্রার্থী। বাকি ১৬টি পদের নির্বাচনে ১২৭ জন ভোটার প্রয়োগ করবেন তাদের ভোটাধিকার। করোনাকালের কথা চিন্তা করে রাখা হয়েছে পোস্টাল আর ই-ভোট। নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে। আর প্রার্থীরা দিচ্ছেন প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি। যশ খ্যাতি কিংবা প্রতিপত্তি। এই তিনের সবই মেলে, বিসিবির পরিচালক হলে। প্রচলিত এই প্রবাদের সত্যতার অকপটে স্বীকার, বোর্ড সভাপতি পাপনেরও। দেশের সবচাইতে প্রভাবশালী বোর্ডের নির্বাচন বলে কথা। ব্যানার-পোস্টার আর ফেস্টুনে তাই ভরে গেছে হোম অব ক্রিকেট। প্রতিদ্বন্দ্বী আর কাউন্সিলর ছাপিয়ে যে উত্তাপ ছড়িয়ে গেছে সবার মাঝে। বিসিবির পরিচালকের পদ ২৫টা। ২টি এনএসসি কর্তৃক নির্ধারিত। বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা আর রংপুরের জন্য নির্ধারিত ৭ পদের সবাই নির্বাচিত হয়েছেন বিনা ভোটে। ঢাকার ২ পদে তিন প্রার্থী। দুই টিটুর সঙ্গে লড়বেন হেভিওয়েট নাঈমুর রহমান দুর্জয়। রাজশাহীতে সাইফুল স্বপনের প্রতিদ্বন্দ্বী খালেদ মাসুদ পাইলট। ক্যাটাগরি-২ এ ১২ পদের প্রতিদ্বন্দ্বী ১৬ জন। উত্তাপ ছড়াবে ক্যাটাগরি-৩ এ। এক পদের বিপরীতে হবে গুরু শিষ্যের লড়াই। উত্তাপ ছড়াবেন নাজমুল আবেদিন ফাহিম আর খালেদ মাহমুদ সুজন। ক্যাটাগরি-৩ এর পরিচালক প্রার্থী খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, 'যে কোন নির্বাচনই কঠিন। প্রতিপক্ষ হিসেবে ফাহিম ভাই আছে। তবুও আমি আশাবাদী।' ক্যাটাগরি-২ এর পরিচালক প্রার্থী ইফতেখার মিঠু জানান, 'আমার চেষ্টা থাকবে ক্রিকেটের উন্নয়ন করার। লং ভার্সন ক্রিকেট আমার বেশি পছন্দ। তাই আমি ঘরোয়া কিংবা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করতে চাই।' এবার ১২৭ ভোটারের মধ্যে ৪৯ জন পোস্টাল আর ৮ কাউন্সিলর দেবেন ই-ভোট। বাড়তি চ্যালেঞ্জ মেনেই নতুন পরিকল্পনা বিসিবির। বিসিবির নির্বাচন কমিশনার ইকরামুল হক জানান, 'নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই আমরা সচেষ্ট আছি। সুষ্ঠুভাবে সবকিছু সম্পন্ন করতে চাই।' বুধবার (৬ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত হবে ভোটগ্রহণ। পরিচালকের দেওয়া ভোটের ভিত্তিতে পরবর্তীতে নির্বাচিত হবেন বোর্ড সভাপতি।